Sanowar Hossain


একখানা সাঁকো


ব্যামোর জের অনেক্ষানি কাটিয়া গিয়াছে,কাটিয়া গিয়াছে বটে কিন্তু কাটানোর জন্য যে ফিকির করিনাই তাহা কিন্তু একেবারে নহে ইতোমধ্যে  রাজশাহী গিয়াছিলাম হাওয়া বদল করিতে ফিরিবার সময় রহনপুর রেল সাঁকো অতিক্রম করিতে করিতে যে চিন্তা খানা মনমদ্ধে আসিয়া উপস্থিত হইল তাহা প্রকাশ না করিয়া পারিলাম না , চাপ এখনো কমেনাই তবুও মোর মনমদ্ধে যেই চিন্তা চেতনা প্রতিনিয়ত ঘুরপাক খাইতে থাকে তাহা কি ভুলিয়া যাইতে পারি? তাইতো আরেক্ষানি রচনা লিখিতে বসিয়া গেলাম যে রচনাখানি লিখিতে বসিলাম তাহার নামকরণই করিয়া ফেলিলাম একখানা সাঁকো উৎসর্গ রিলাম আমার প্রিয়তমাকে যাহাকে আমি পাঠক মধ্যে হরহামেসা (আতিয়া ছদ্মনাম) বলিয়া তুলিয়া ধরিয়া থাকি,মনে মনে ভাবিতে থাকি একখানা সাঁকো বানাইয়া বসিব,যেই সাঁকো খানি হইবে ভালবাসার সাঁকো,যেই সাঁকো খানি মোরে পৌঁছাইয়া দিবে তাহার(আতিয়া ছদ্মনাম)নিকট অব্দি আরও ভাবিতেছি পার আর পারের দূরত্বটা এবার মিটাইয়াই ফেলিবো খণ্ড খণ্ড ভালোবাসাকে বিন্যস্ত করিয়া বসাবো তাহার(আতিয়া ছদ্মনাম)পদযুগল অব্দিপার আর পারের শক্ত হাতলদ্বয় মনে করাইয়া দিতে থাকিবে কতটা একাগ্রতা আর কষ্টের দ্বারা বানানো হইয়াছে আমার এসাঁকোখানি, সেই সাঁকোতে ভর করিয়া তাহারে(আতিয়া ছদ্মনাম)পারে লইয়া আসিবার বাসনা মনমদ্ধে প্রচণ্ড ভাবে চাপিয়া বসিতেছে,আরও ভাবিতেছি মোর পাগল সমতুল্য মণখানি হইতে বাহির হইয়া আসা এলোমেলো শব্দগুলোকে সাজাইা গুছাইয়া তৈরি করিবো সেই পথখানি,সাঁকো হইতে নামিয়া যেই পথমদ্ধে আতিয়া ছদ্মনাম)হাঁটিতে থাকিবে অনন্তকাল যাবত হাঁটিতে হাঁটিতে যদি মোর হাতে হাত খানি রাখিয়াও বসে তাহাতেও কোন আপত্তি রহিবেনা যে পথের প্রতিটি গাঁথুনি তাহারে(আতিয়া ছদ্মনাম)বুঝাইয়া দিতে থাকিবে আর বলিতে থাকিবে কতটা ভালোবিয়া পথখানি আমি গড়িয়াছি, আমার প্রতিটি সূর্যোদয় তাহার(আতিয়া ছদ্মনাম)চিন্তা ভাবনা শুরু হইয়া থাকে আবার তাহার ভাবনাতেই শেষ হইয়া থাকে ,আজ অব্দি তাহার(আতিয়া ছদ্মনাম) চিন্তা কাটানো সময়কে আমি জীবনের পাতায় সাজাইরাখিয়াছি অজস্র সুখে আর তীব্র বেদনার দ্বারা মিশাইয়া রাখিয়াছি ততটাই আবেগ যতটা আবেগে দূরত্ব মিটিয়া যায়ইয়া থাকে চোখের পলকেতুমি আমি একদিন মিলিয়াছিলাম প্রিয়া শুধু চোখের জ্বলের বাবধান টুকু আজও রহিয়া গিয়াছে। 


ব্যামো তুমি অনেক কিছুই কাইরা নিলা আমার............



3rd year exam date পাওয়ার পর মাথায় ভূত চাপিয়া বসিল অতঃপর চাপ নিবারণ করিবা পূর্বক টেবিল চিয়ার লইয়া বসিয়া পড়িলাম উদ্দেশ্য আইনস্টাইন হওয়া কিন্তু তাহার ফল মটেও শ্রুতিমধুর হইলনা যাহা ঘটিল তাহা পড়িলে পাঠক হৃদয় বিদীর্ণ হইবার উপক্রম হইয়া পড়িবে ৪ তারিখ নিশীথে শারা শরীর কম্পিভুত হইয়া জ্বর আশিয়া উপস্থিত হইল যাহার ভয়াবহতা নাইবা বিশ্লেষণ করিলাম শুধু ঘুমের মধ্যে ভুলভাল বকিতে থাকিলাম, খাইবার প্রতি রুচি উঠিয়া গেল, এহেন অবস্থ ৮ তারিখ অব্দি চলিতে থাকিল ডাঃ এর পরামর্শ মোতাবেক হাইয়ার অ্যান্টিবাইওটিক সেবন করিবা পূর্বক গতকল্য আরোগ্য লাভ করিলাম বটে কিন্তু এই ব্যামো আমার কাছ হইতে যাহা কারিয়া লইল তাহা পুরন হইতে এক ক্যালেন্ডার কিংবা তাহার চাইতেও অধিক সময় ও লাগিয়া যাইতে পারে কেন এই উক্তিটি করিলাম তাহার উপযুক্ত কারন ও রহিয়াছে বটে ব্যামোর ফল স্বরূপ মাথায় যে আমার প্রাণপ্রিয় ভ্রমর এর ন্যায় কেশরাজি বিদ্যমান রহিয়াছিল তাহা জলাঞ্জলি দিতে গিয়াছিলাম নাপিত বেটার নিকট সুযোগে পাইয়া মেশিন আর কাঁচির তলে মুণ্ডুটারে অনেকক্ষণ যাবত সাইজ করিয়া এমন একটা আকৃতি দাঁড় করাইল যাহা দেখিয়া লজ্জায় মরিয়া যাইতে ইচ্ছা হইতে লাগিল অনেকেই চিনিতে গিয়া confusion এ পরিতে লাগিল আয়নার সামনে দাঁড়াইয়া সুদর্শন মুখোমণ্ডলখানি দেখিবামাত্র চোমকিয়া উঠিলাম কেননা আয়নার সামনে ঠিক যেই মুখোমণ্ডলখানি দেখিলাম তাহা হিরণসেবি ভাইদের ন্যায় আকার ধারণ করিয়াছে যেই শরীরখানা ঘোড়ার ন্যায় ঘুমাইয়া আর গোরুর ন্যায় ভোজন করিয়া বানাইয়াছিলাম তাহার ওজন হইয়াছিল ৭১-৭২ কেজি আজ তাহা পরিমাপ করিতে গিয়া যন্ত্রের উপর মাথায় হাত দিয়া ধপাস করিয়া বসিয়া পড়িলাম কেননা ২ বর্ষ ধরিয়া পরিশ্রম করিয়া যাহা বানাইলাম তাহার ফলাফল ২ দিনে এত কমিয়া যাইতে পারে তাহা ভাবিতে চঞ্চল হৃদয় ও থমকিয়া দাঁড়াইবে ১০ কেজি ওজন কম দেখিয়া দায়িত্বে থাকা বাক্তির সহিত উষ্ণ বাক্য বিনিময় করিয়া বসিলাম যন্ত্র খারাপ ইত্যাদি ইত্যাদি ফেসবুক প্রসঙ্গ নাই টানিলাম এহেন পরযায় চলাকালীন যতক্ষণ ফেসবুক ব্যবহার করিয়াছি অনেক এর স্ট্যাটাস এ উল্টাপাল্টা comment কইরা ভর্তি করিয়া ফেলিয়াছি এমতাবস্থায় মনে হইতেছে স্বেচ্ছায় পাবনার উদ্দেশে পাড়ি জমাইয়া ফেলি কিন্তু বিধিবাম হইয়া পড়িল exam . আর exam এর পূর্বে ব্যামো ধরিবে সেই ব্যামো অ্যান্টিবাইওটিক বাতিত সারিবেনা তাহা চিরন্তন সত্য হইয়া পড়িয়াছে এবং তাহা শরীরের উপর যে প্রভাব ফেলিয়া যাইবে তাহা বন্যার জল নামিয়া গেলেও যেমন হাহাকার রাখিয়া যায় তাহারই শামিল হইয়া রহিল
চলিতে থাকিবে .................................তুলা
জীবনতো আর থেমে থাকার নয়

Leonel Messi The Argentain's Dream Boy



বস !!!!! তোমাকে নিয়ে আমি একটু বেশিই মেতে থাকি এই যেমন বার্সেলোনার ম্যাচ গুলো যতোই  রাতে হোক মিস করিনা যদি কোন রাতে আমি খেলা না দেখি আর যদি সকালে শুনি তোমার দল জেতেনি তাহলে নিজেকে অপরাধী মনে হয় আমি খেলা দেখিনি বলেই হইত হারতে হয়েছে বলে মনে হয় এই এতোটুকু জীবনে তোমার জাদুকরী ফুটবলশৈলী আর নইপুন্ন্যে আমি মুগ্ধ তোমার সব জাদুই আমি দেখেছি এইবার শুধু শিল্পী হয়ে চিত্রকর্মে শেষ আঁচরের অপেক্ষায় যেই আঁচরটা তোমা নিয়েযাবে অনন্য উচ্চতায় আমি জানি তোমার পাশে শুধু তোমাকেই মানাবে আর এও জানি ২০১৪ বিশ্বকাপটা তোমার হাতে যতোটা শোভা পাবে তা অন্য কারও হাতে শোভা পাবেনা শেষ দৃশের অপেক্ষা রইলাম কোটি কোটি ভক্তকে নিরাশ করোনা যেন ...........................................................................।।

সানোয়ার হোসেন (তুলা)