বালিরে লইয়া অধিক চিন্তার ফল কোনোদিনও সুখকর ছিলনা তাহার প্রমাণ মিলিয়াছিল ১ম
সাময়িক পরীক্ষায় গণিতে ফেল করার দরুন। যদিও
এই মুহূর্তে মোর পড়ার বিষয়খানা গণিত এবং যাহা অন্তিম মুহূর্তে অবস্থানরত তবুও সেই দুঃসহ স্মৃতি ভুলিবার
নহে। পথিমধ্যে ২য় সাময়িক পরীক্ষা সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইল, ১ম সাময়িক পরীক্ষার সিট বসাইবার অভিপ্রায়ে সেইদিন ১২ টার দিকে পাঠশালা
ছুটির ঘণ্টা বাজিয়া গেল। ছুটির ঘণ্টা পাইয়া নিম্ন মস্তকে গৃহের পানে পা বাড়াইলাম, কিছু পথ অতিক্রান্ত হইতেই পশ্চাৎ হইতে জনৈক বালকের মুখে নাম ধরিয়া ডাকার আওয়াজ পাইলাম। পশ্চাৎ ফিরিয়া
বালকটির হস্তে একখানা কাগজ দিখিবামাত্র মোর চক্ষুজোড়া আনন্দে চকচক করিয়া উঠিল হ্যাঁ ইহাই ছিল
মোর কাঙ্খিত পত্রখানা। পত্রখানা পাইবা মাত্র হৃদয় মাঝারে যে ঢেও খেলিয়া
গেল তাহা সমুদ্রের উত্তাল ঢেও কেও হারমানানোর সমতুল্য। পত্র
পাঠ করিতে মোর তর আর সহিতেছিলনা মনে হইতে লাগিল জনসম্মুখেই উম্মুক্ত করিয়া পাঠ আরম্ভ করিয়া দেই। অধিক কষ্টে আপনারে সংযত করিবাপূর্বক গৃহে প্রবেশ করিবা মাত্র দ্বার রুদ্ধ করিলাম। রুদ্ধ কামরাতে আবদ্ধ হইয়া অন্ধকারে পত্র খানা লইয়া বক্ষে, পেটে, অংসে ঠোঁটে বারংবার চুম্বনে
চুম্বনে ভরাইয়া
তুলিলাম, পত্রখানা
যে কতবার পাঠ করিয়াছিলাম তাহা গণনযোগ্য নহে, পাঠ করা সমাপ্ত করিয়া বালিসের নিচে রাখিলাম পুনরায় বাহির করিয়া
পাঠ আরম্ভ করিলাম
অনেক্ষন এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিতে থাকিল। সেই
দিবসে মোর সমস্ত মুখমণ্ডলে
আনন্দ যেন আর ধরিলনা পত্রখানা কোথাই রাখিব তাহার উপযুক্ত স্থান মিলিলনা অবশেষে মোর মানিবাগেই
স্বযতনে স্থান মিলিল। অপেক্ষার প্রহরের পরিসমাপ্তি ঘটিল ধন্যও হইলাম
বটে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন