অঙ্কুরোদগম
কেমন করিয়া বিস্তার লাভ করিতে লাগিল তাহা লেখকগণের ন্যায় বিস্তররূপে তুলিয়া ধরিতে
না পারিলেও ক্ষুদ্রাকারভাবে তুলিয়া ধরিতে পারিবো এই বিশ্বাসখানা মোর রহিয়াছে, ইতোপূর্বে গৃহাভ্যন্তরে যে ক্ষুদ্র কামরাখানি পাইয়াছিলাম
প্রেমের অঙ্কুরোদগম ঘটিবার ফলে তাহা ত্যাগ করিয়া ধরণীর আলো-বাতাস খাইতে যাইবার সাধ
মনোমদ্ধে জাগিতনা অথচ তটিনী ধারে গমন করিলে নীড়ে ফেরত আসিতেও মন চাহিতনা, হালকা দোটানার অন্তর্ভুক্ত হইয়া সমুদ্রগামী স্রোতস্বিনীর
ন্যয় জীবন অতিবাহিত হইতে লাগিলো। পাঠশালার পানে গমন করিতে এতোটুকু পিছুটান
রহিলনা অথচ পড়ালেখায় বিন্দুমাত্রও মনোযোগ স্থাপন করিতে পারিলামনা, পাঠশালার সময় হইবার অপেক্ষায় থাকিতাম কি কারনে থাকিতাম তাহা
পাঠকগণ নিশ্চয় বুঝিয়া গিয়াছেন কেননা বালির সহিত দেখা হইবার উপযুক্ত স্থানছিল কেবলই
পাঠশালা। ক্লাশের
অনেকেই ব্যাপারখানা টের পাইয়া কানাকানি করিতে লাগিল অনেকেই তাচ্ছিল্য করিয়া বলিতে
লাগিল বালি নাকি মোর পানে চাহিয়া রয়!! হাঁসির পাত্রে পরিণত হইলাম তবুও দমিলামনা। ইহার মধ্যে একখান ব্যাপার মোর নজরে আসিয়া উপস্থিত হইলো- বালিরে
দেখিলাম ক্লাশ শেষে নারীদের কমনরুমে না গিয়া দ্বিতীয় তলার সিঁড়িখানা
ধরিয়া ঠাই দাঁড়িয়ে থাকা শুরু করিল স্যার হাজারো নিষেধ করিবার সত্ত্বেও একচুল নড়িতে
দেখিলাম না আমিও তাহারে দেখিবার লোভ সামলাইতে না পারিয়া পুনঃপুনঃ ক্লাশের সমাপ্তির অপেক্ষা করিতে লাগিলাম ক্লাশের উপর হইতেও মনোযোগ
হারাইলাম ভাবিলাম আলগা হাওয়া লাগিল বুঝি গায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন