পূর্বের
পর্বে মোর পিতার দ্বারা চপেটাঘাত প্রাপ্ত হইয়াছিলাম। চপেটাঘাত প্রাপ্ত হইয়া পাগলামোর মাত্রাটা কমিয়া
আসিয়াছিল। এমতাবস্থাতে ব্যাচভিত্তিক উদ্যোগ লওয়া হইলো সকলে মিলিয়া
স্বপ্নপুরি গমন করিব পরিশেষে ভ্রমণের দিবস আসিয়া উপস্থিত হইল। দ্রুত সমাপ্তি টানিবার লক্ষ্যে অভ্যন্তরে কিছু
কাহিনীর সংক্ষেপণ ঘটাইলাম। স্বপ্নপুরি ভ্রমণের সঠিক দিনখানা স্মরণে
আসিতেছেনা তবে সেই দিবসে বালির সহিত অনেকক্ষণ যাবত কথা হইয়াছিল অধিক দিবসান্তে। স্বপ্নপুরি
হইতে ফেরত আসিয়াছিলাম, ফিরিবার কালে বালিকে প্রদানের লক্ষ্যে কিছু
উপহার লইয়া আসিয়াছিলাম। পরবর্তী দিবসে স্বপ্নপুরি হইতে বহন করিয়া নিয়ে
আসা উপহার সামগ্রী ক্লাস সমাপ্তি হইবা মাত্র বালিরে প্রদান করিব ভাবিয়া পাঠশালায়
উপহার সঙ্গে লইয়া গমন করিলাম এবং সযত্নে আড়াল করিয়া রাখিলাম বলা বাহুল্য যে
প্রতিটি ক্লাশ ভাঙ্গিবা মাত্রই ভালোভাবে পরখ করিয়া লইতাম ঠিকঠাক রহিয়াছে কি না।ক্লাশ
সমাপ্ত হইলে মস্তকের উপরে আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িল, দেখিলাম
উপহার সামগ্রী কাওরোর দ্বারা গোপন করা হইয়াছে এবং তাহা চিরতরে লুকায়িত হইলো, কে এই কাজ ঘটাইয়াছে তাহা টের পাইলেও শারীরিকভাবে অসমর্থ
থাকিবার কারনে কিছুই করিতে পারিনাই শুধুই দুই চক্ষে দেখিয়া থাকিয়া গেলাম। বালি
ঘটনা শুনিয়া বরং সান্ত্বনাই প্রদান করিল তবুও মনখুন্ন হইয়া রহিল ইহা ভাবিয়া যে
চুরি হইয়া গেলো কিছু স্মৃতি, স্মৃতি খোয়া গেলো বটে তবে ইহাতে ভালোবাসা
বিন্দুমাত্র হ্রাস পাইলনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন