বালির সহিত সম্পর্ক তখনও অপরিপক্ক মৃত্তিকার ন্যায়
কর্দমাক্ত, অধিক কোন কিছুর ফলাফল যে সুমিষ্ট হয়না তাহার
প্রমাণ মিলিল কিছু পথ অতিক্রান্ত হইতে না হইতেই- হঠাৎ একদিন ব্যামো বাধিয়া বসিল প্রায় তিন দিবস বিছানায় অবস্থান লইতে হইল যাহার ফলে পাঠশালায় অনুপস্থিত রহিলাম। যে
বালি দিবসে দুই-তিনখানা পত্র প্রেরণ করিত, অ্যাসেম্বলিতে স্থির নয়নে চাহিয়া রহিত, নদীর বুকে অর্ধগলা পানিতে নামিয়া খুজিয়া বেড়াইত আমি কোন কিনারে অবস্থান
করিতেছি, ঘাট হইতে ফিরিবার পথে যে বালি কলস নামাইয়া মোর
পাহাড়ে আড়াল হউয়া অব্দি অপেক্ষা করিত, পিতামহর বাসায় আসিয়া উপস্থিত হইলে মাঠের কোন প্রান্তে অবস্থান করিতেছি তাহা খেয়াল করিতে করিতে গৃহাভ্যান্তরে
প্রবেশ করিত সেই বালি কিরুপে তিন দিবস না দেখিয়া না পত্র প্রদান করিয়া থাকিতে পারিবে? বালি আপনারে সংযত রাখিতে না পারিয়া মোর গৃহের পাশে অবস্থানরত তাহার এক
আত্মীয়র হস্ত মারফত এখান পত্র
প্রদান করিল দুর্ভাগ্যক্রমে পুস্তকের মলাট ভেদ করিয়া পত্রখানা উন্মুক্ত হইয়া পরিল এবং কয়েক হস্ত
ঘুরিয়া বালির পিতার হস্তে গিয়া পরিল। সেই দিবস অপরাহ্নে পুনঃরায় বালির পত্র আসিয়া
উপস্থিত হইল পত্রখানার মুলভাব ছিল এইরূপ যে- পুরবাহ্নের পত্রখানা পিতাজি কিরুপে যেন পাইয়া
গিয়াছে মোর তরফ হইতে যেন
পত্রখানা অস্বীকার করা হয়, তবে
এইটা জানিয়া খুশি হইলাম যে পত্রে মোর নাম উল্লেখ ছিলনা আর যাহা লিখা হইয়াছিল তাহা ছিল এক
বিশালাকার কবিতা, ব্যাপারখানা
এড়িয়ে যাবার বিস্তর সময় মিলিল তবুও হারানোর ভয় পাইয়া বসিল যখন শুনিলাম বালির পিতা মোর পিতার কর্ণে
ব্যাপার তুলিয়া ধরিয়াছে। কিরুপে ব্যাপারখানা পাশকাটাইয়া যাওয়া যায় তাহার চিন্তায়
মশগুল হইয়া পরিলাম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন