Sanowar Hossain


যে স্কুল ব্যাগে শুধু বই থাকেনা



আমি যখন চট্টগ্রামে এসে একটা প্রাইভেট ক্লিনিকের ইঞ্চার্জ এর দায়িত্ব নিলাম তখন এসে দেখলাম অসহায় রোগীদের উপর চাপিয়ে দেয়া অহেতুক কিছু টেস্ট, বর্তমানে রোগীদের উপরে এই টেস্ট নামক বোঝা চাপিয়ে দিয়ে ডাক্তার আর ক্লিনিকের মালিকেরা যে ব্যবসা শুরু করেছে সেটা অনেকটাই একটা শিশুকে চৌদ্দটা বই চাপিয়ে দেয়ার মতোই পার্থক্য শুধু এইটুকুন ক্লিনিকে ভুক্তভোগী হচ্ছে রোগী আর এইখানে ভুক্তভোগী হচ্ছে শিশু তবে উভয়েই ভুক্তভোগী আমরা যখন ক্লাশ ফাইভ থেকে সিক্সে উঠলাম তখন আমাদের বই ছয়টা থেকে বেড়ে হয়ে গেল এগারটা আর এখন হচ্ছে চৌদ্দটা মনের মধ্যে মাঝেমাঝে ঘোরতর একটা প্রশ্ন জাগেশিশুদের এই ব্যাগ কি শুধুই বইয়ের ভারে ভারী হয় নাকি আরও অনেককিছুই এই ব্যাগে থাকে? প্রকৃতপক্ষে একটা শিশুর এই স্কুলব্যাগ ভারী নাহলে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির মানিব্যাগ ভারী হয়না, এই স্কুলব্যাগ ভারী নাহলে স্কুল-ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের বাজারের ব্যাগ ভারী হয়না, এই স্কুলব্যাগ ভারী নাহলে প্রকাশকরা তাদের বাড়তি বই বিক্রি করে স্ত্রীর শপিংব্যাগ ভারী করতে পারেনা, এই স্কুলব্যাগ ভারী নাহলে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার পরিদর্শকদের সাইড ব্যাগ ভারী হয়না একটি শিশু আসলে এই স্কুলব্যাগের মাধ্যমে কতশত জনের বোঝা বইছে সেটা কি শিক্ষা অধিদপ্তর জানে? তাইতো আজকে কিছু ডাক্তার মৃত রোগী অপারেশন করে বিল নেয়, কিছু শিক্ষক অহেতুক বই সিলেবাসে যোগ করে কমিশন খায় এতজনের ভরণপোষণের দ্বায়ভার যে শিশুর উপর তার স্কুলের ব্যাগ হালকা হয় কি করে?     


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন