Sanowar Hossain


ভাল আছি বলতে অন্তত এখন আর দ্বিধা-দ্বন্দে ভুগতে হয়না

একটা জিনিস খুব ভালভাবে খেয়াল করে দেখেছি- অপছন্দের জিনিসগুলার সাথেই একটু বেশী মুখোমুখি হওয়া লাগে, এই কথাটা কেন বলছি সে প্রসঙ্গে একটু পরে আসছি। আমি বরাবরই নিজের সমালোচনা করতে একটু বেশীই পছন্দ করি, উপরক্ত টপিকটাও আমার একান্তই নিজের। আজকে কাজের ক্ষেত্রে খেয়াল করলে দেখবেন শতভাগ যুবকের মধ্যে ত্রিশভাগ যুবক তাদের বর্তমান কাজটার উপর কোন না কোনভাবে অখুশি, পঞ্চাশভাগ যুবক বেকার, দশভাগ যুবক বর্তমান কাজের উপর সন্তুষ্ট বাঁকি দশভাগ বড়োলোকের সন্তান, কাজ করলে বা না করলে কিছু যায় আসেনা। আমি প্রথম যুবকদের কাতারেই ছিলাম, যে কাজে নিয়োজিত ছিলাম সেটার সাথে কিছুতেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিলামনা, কেমন জানি ভেতরে একটা অস্থিরতা বিরাজ করতো, কখনো কখনো নীরবে চোখের পানিও ফেলেছি পরক্ষনে আবার আশেপাশের মানুষগুলার দিকে তাকিয়ে সান্তনাও নিয়েছি। এবার প্রথম প্রসঙ্গে আসি- প্রথম জীবনে আমি আর দশজন মানুষের মতোই প্রেম, সিগারেট, মিথ্যা কথা বলা, কোম্পানির জব ইত্যাদি অপছন্দই করতাম কিন্তু কাকতালীয়ভাবে সত্য যে এই সবকিছুর সাথেই আমার পরিচয় হয়েছে এবং খুব ভালোভাবেই হয়েছে। বর্তমানে আরেকটা নতুন পথে পা বাড়িয়েছি, যদিও প্রকৃত স্বপ্নটা এখনো পূরণ হয়নি তবুও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই আছি বলা চলে। আসলে যে মানুষগুলা সারাদিন ময়লা আবর্জনার সাথে থেকে অভ্যস্থ তাদের কাছে ঘামের দুর্গন্ধ পারফিউমের মতো, যে মানুষগুলা তিন সন্ধ্যা চা খেয়ে কাটিয়ে দিয়ে অভ্যস্থ হঠাৎ একদিন একটা রুটি একটা পূর্ণিমার চাঁদের মতোই মনে হবে, যে আমার মতো অতি কষ্টে জীবন অতিক্রম করছে তার কাছে এই সুখটুকা ঈদের আনন্দের মতো মনে হবে। অন্তত বাবা-মা কে ভাল আছি এই কথাটা বলতে গিয়ে দ্বিধা দ্বন্দে ভুগতে হয়না এই আর কম কি??

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন