Sanowar Hossain


অব্যক্ত কথাগুলা


২৫ তারিখ ফর্ম ফিলাপের ডেটের কথা শুনে বাবাকে ১২.২০ এ ফোন দিলাম-

আমিঃ হ্যালো বাবা
বাবাঃ কি খবর জি আব্বা? টাকা লাগবে? (গলার শব্দ শুনেই বুঝে গেছে)
আমিঃ আজ না ২৫ তারিখে।
বাবাঃ ১০০০/= টাকা দিলে হবে?
আমিঃ আব্বা ২৫ তারিখে ফর্ম ফিলাপ
বাবাঃ গত মাসেই না ফর্ম ফিলাপ করলা?
আমিঃ ওইটা কলেজের ফি প্রদান করা হয়েছে এইবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি দেয়া লাগবে।
বাবাঃ ওহ! কতো লাগবে?
আমিঃ ৪৫০০/= টাকা, এইবার একটু বেশীই লাগছে।
বাবাঃ ওহ (গলায় আড়ষ্টভাব)
আমিঃ দেখেন ব্যবস্থা  করা যায় কি না?
বাবাঃ চিন্তার কোন কারণ নেই ঠিক সময়েই পাঠিয়ে দিবো (আমি যাতে চিন্তা না করি তার দায়ভার) এরপর কি আর লাগবে?
আমিঃ এইতো বাবা এইবারই শেষ আর টাকা পাঠাতে হবেনা (দ্রুত মুখ থেকে বের হয়ে পরল)
বাবাঃ ঠিক আছে ভালোভাবে শুধু পড়ালেখাটা করে যাও।
আমিঃ জি আব্বা বলে রেখেদিলাম (এইটাও জানি ২৫ তারিখে আবার কুষ্টিয়াতে ছোট ভায়ের কাছে টাকা পাঠানো লাগবে, হইত ৩০০০/= টাকা কষ্ট করে দিয়ে বলবে এইটা দিয়ে চালিয়ে নিও)

ফিলিংসঃ  সমস্যা নেই বাবা তোমাদের কষ্ট লাঘবের জন্য আমি অনেক কষ্টে আগে থেকেই কিছু টাকা জমিয়ে রেখেছি।

বি.দ্রঃ কথাগুলা প্রতীকী হলেও এই সমস্যাটা প্রায় প্রত্যেকটা ছাত্রেরই আছে, আসলে মেস খরচ, বই-খাতা কিনা,প্রাইভেট ফি, কলেজ ফি, ফর্ম ফিলাপ ফি বহন করতে করতেই বাবা মায়ের সারাটা জীবন কেটে যায়, ছেলে যখন একটা কর্মে যোগদান করে সেই সময় তাদের বয়সটা শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়ায় এতো কষ্টের বিপরীতে কতটুকুইবা সুখ  তাদের ফেরত দিতে পারি?? তারপর হইত সংসার জীবন শুরু হবে যে আসবে সংসার সাজাতে সে হইত ধ্বংসের লিলা খেলাতে মেতে উঠবে সুখ তাদের কপালে হয়ে  উঠে মরীচিকা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন