Sanowar Hossain


বালি ১১তম পর্বঃ বালির বিয়ে

গত নিশিতে বালির গায়ে হলুদ সম্পন্ন হইয়াছে, বালি হস্তরাঙাতে গিয়া তাহা বারংবার তুলিয়া ফেলিয়াছে কান্না করিয়া শয়ন করিয়াছে দ্রুতই ইহা কর্ণে আসিয়া পৌছলো নব্যগন্তব্ব্যে গমন করিবার প্রতীক্ষায় যে অপেক্ষমান তাহার সম্পর্কে এই সমস্তকিছু শ্রবণ করিয়া এহেন পরিস্থিতে মোর কি উচিৎ আর কি অনুচিত তাহা মোর দ্বারা পরিষ্কার করিয়া ওঠা সম্ভবপর হইলনাকেবলমাত্র সমালোচনার হস্ত হইতে রক্ষাপাইতে আর বন্ধুদের গুলির ন্যয় বাক্যের হস্ত হইতে আপনারে সুরক্ষিত রাখিতে আপনা হইতে পলায়ন করিবার রাস্তা খুঁজিতে লাগিলামভাগ্য সুপ্রসন্ন রহিয়াছিল বালির বিবাহের দিবসেই মোর আপন মামানীর কনিষ্ঠভ্রাতার বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াত রহিয়াছিল এবং তাহাদের তরফ হইতে মোরে সঙ্গে লইয়া যাইবার এক চক্রান্তও চলিতেছিল আসলেই তাহা মোর আশীর্বাদ হইয়া উঠিলবালির বিবাহের দিবসে অতি প্রভাতে বড় মামানিরে সঙ্গে লইয়া সেজো মামার শ্বশুরালয় টগরইলে গিয়া উপস্থিত হইলামবিয়ে বাড়ীতে কুটুম্বগণের সহিত আপনারে মিলাইয়া ফেলিতে চাহিলাম এবং কখনও অল্প কখনওবা ভারী কর্মের দ্বারা আপনারে ব্যাতীব্যস্তই রাখিলাম যাহার ফলে সমস্ত দিবসে মনমদ্ধে কয়েকবার মাত্র বালি আসিয়া হানা প্রদান করিবার সুযোগ পাইল কুটুম্বগণ বিয়ে বাড়ী হইতে বিদায় লইলে নিজেও আপন গৃহে ফেরত আসিবার জন্যে উদগ্রীব হইয়া উঠিলাম কিন্তু বাধসাধল মোর নানীঅধিক দিবসান্তে তাহাদের গৃহে গমন করিবার কারনে মোরে কয়েক দিবস থাকিয়া যাইতে আচ্ছা করিয়া ধরিয়া বসিলআপনার ইচ্ছের বিরুদ্ধে যাইয়া কয়েকদিবস থাকিয়া যাইতে মনস্থির করিয়া ফেলিলামথাকিয়া যাইব শ্রবণ করিয়া মোর কনিষ্ঠ মামা, খালারা প্রচণ্ড খুশিই হইলো সকলে মিলিয়া খোশগল্প আর সিনেমা দেখাতে মগ্নহইলামভয় যে রাত্রিকে দেখিয়া তাহা সম্মুখে আসিয়া পরিল নৈশভোজ সারিয়া কে কোথায় ঘুমাইবে তাহা বরাদ্দ হইতে লাগিলদুর্ভাগ্যক্রমে মোর শয়নের স্থান হইল সদ্য বিবাহ করা মামার বাসর ঘরেঅনেকটায় কাঁকতলিয় হইয়া গেল ব্যাপারখানা কেননা সেই নিশিই যে বালির বাসর নিশিকিছু নিশি অতিক্রান্ত হইতেই মোর দম বন্ধ হইয়া আসার উপক্রম হইলে অধিক মশার দোহাই প্রদান করিয়া অন্য কক্ষে গিয়ে শয়নের মনস্থির করিলে নানী আসিয়া কয়েল জ্বালাইয়া দিয়া চলিয়া গেলো প্রকৃত কষ্টটা কেও ধরিতেই পারিলনাসেই নিশিতে মোর নিদ্রা হনন হইলো সমস্ত নিশি এপাশ ওপাশ করিয়া কাটাইয়া দিলামফজরের ওয়াক্তে ঘুম চাপিয়া আসিল স্বপ্নে বালির দর্শন পাইলাম সমস্তকিছু মিলিয়া গেলো শুধু জীবনের তফাৎটুকুই কেবল রহিয়াগেল বিস্তর সেই জীবনের দূরত্ব কেননা আজই যে বালির বিয়ে 

স্মৃতি নামক জিনিসটা প্রায় স্ক্রিপ্টের ন্যায়, হযবরল করিয়া কোথাও না কোথাও রচিত থাকিবে ঠিকই কিন্তু উহাতে অর্থ ব্যাতীত অধিক পরিমাণ বর্ণও জমাইয়া থাকিয়া যাইবে ইহা হইলো মোর আবেগের উক্তি তবে ভালোবাসা লইয়া রচিত হযবরল বাক্যগুলা যদি আমেরিকার ম্যাথমেটিশিয়ান আলার্ন টুরিং এর টুরিং মেশিনের এক প্রান্তে প্রবেশ করানো সম্ভবপর হইত তাহা হইলে হযবরলর অর্থসমূহ অধিক সুদর্শন হইয়া উন্মুক্ত হইয়া পড়িত ইহা মোর অধিক বিশ্বাসগত হইয়া পরা ব্যক্তিটিকে উদ্দেশ্য করিয়া রচিত পত্রগুলো আপনার অজান্তে একা একা বারংবার পঠিত হইতে থাকে হইতবা অশ্রওঝরিয়া পড়ে অজান্তেই, অক্ষির ধবল জল অশ্রুর সহিত মিশিয়া কৃষ্ণকার হইয়া টপাটপ ধ্বনি তুলিয়া মৃত্তিকাতে নিমজ্জিত হইয়া পড়ে..................      

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন