Sanowar Hossain


বালি ৯ম পর্বঃ ফলাফল বিপর্যয়

২০০৭ সাল, পথিমধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা দরজায় আসিয়া উপস্থিত হইল। মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যার চাপে বালিরে কয়েক দিবস হইতে ভুলিয়া থাকিবার চেষ্টাই করিলাম, দেখা করাতো বন্ধ করিলাম করিলাম পত্র লিখার ও অবকাশ পাইয়া উঠিলামনা। এহেন অবস্থাতে বালি কি ভাবিতেছিল তাহা মোর অজানায় রহিয়া গেলো শুধু একদিবসে মোরে এক আত্মিয়ের আলয়ে গমন করিতে দেখিয়া অশ্রুসিক্ত আঁখি লইয়া বালি মোর সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াইলো, এমতাবস্থায় মোর সম্মুখে বালিরে দেখিয়া অপ্রস্তুত হইয়া জিজ্ঞেস করিয়া বসিলাম কেমন আছো? প্রশ্নটা শুনিয়া বুঝি বালির বুক ফাটিয়া চৌচির হইয়া পড়িল অশ্রু আর ধরিয়া রাখিতে পারিলোনা সে। মনমদ্ধ্যে সান্ত্বনার বাণী হাতড়াইয়া ফিরিতে লাগিলাম, নিমিষেই কেমন একটা থমথমেভাব বিরাজ করিয়া উঠিল। থমথমে ভাব হইতে মুক্তি দিতে নিজেই বলিয়া উঠিলাম ভয় নেই বালি, পরীক্ষার চাপে অতিষ্ঠ হইয়া রহিয়াছি শেষ হলেই স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরিয়া আসিব। উক্তিটি শুনিয়া বুঝি বালির বুক হইতে হাজারমণ ওজনের ভার নামিয়া গেল ওষ্ঠকোণে কিঞ্চিৎ হাঁসি ফুটিয়া উঠিতে দেখিয়া নিজেও একটুখানি নিশ্চিন্ত হইলাম। অধিকচাপ তাহার সহিত কিঞ্চিৎ ব্যামো মাথায় লইয়া মাধ্যমিক পরীক্ষা সমাপ্ত করিলাম। পরীক্ষার সমাপ্তি আর ফলাফলের মধ্যবর্তী ঘটনা সংক্ষেপিত করা হইলো। ১২ জুন ২০০৭ ফলাফল প্রকাশের তারিখ আসিয়া উপস্থিত হইলো যদিও জনসম্মুখে প্রকাশ করিতে লজ্জায় মাথা কাটিয়া যাইতেছে তবুও বলিয়া ফেলিলাম- মাধ্যমিক ফলাফলে আমি একজন এ প্লাস প্রত্যাশী ছাত্র হিসেবেই বিবেচিত রহিয়াছিলাম কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পরবর্তীতে যাহা জানিতে পারিলাম তাহা আমি কেন মোর পিতা-মাতা সহ শিক্ষককুল ও বিসৃত হইয়াছিল প্রকৃতপক্ষে বলতে গেলে এই ফলাফল কাহারও কাম্য ছিলনা। ইহার পশ্চাতের কারণ হিসেবে পরিবারের অনেকে বালিরেই দোষারোপ করিল ইত্যাদি ইত্যাদি। সকলেই যখন মাধ্যমিকের ফলাফল লইয়া উৎফুল্ল আমি তখন গৃহাভ্যান্তরে আবদ্ধ, লজ্জাতে মুখ দেখানো দায় হইয়া পড়িল যাহারা ভালো ফলাফল করিল তাহারা মোরে সমবেদনা জানাইতে গৃহে আসিয়া উপস্থিত হইলো।তবে মোদ্দা কথা যাহা ছিল তাহা হইলো খারাপ ফলাফল, ইহারে মোর জীবনের বিপর্যয়ই বলবো "ফলাফল বিপর্যয়"

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন