Sanowar Hossain


বালি, ৩য় পর্বঃ প্রত্তুওরের অপেক্ষায়

বালিরে কি রূপে ব্যাপারখানা জানানো যায় তাহা লইয়া ভাবনার নতুন একটা মাত্রা আরম্ভ হইলবলিয়া রাখা ভালো তৎকালীন সময়ে মোর পিতাজির আলিনগর বাজারে একখান খাদ্য দ্রব্যাদির বিপণি রহিয়াছিলো, বিপণিখানা এতটাই প্রচলিত রহিয়াছিলো যে নিশিতে তাহা বন্ধ করিয়া গৃহে ফেরত আসিতে কোন কোন নিশি সমাপ্তির পানে গড়াইয়া পরিতসারাদিনে সংসারের ঘানি টানিয়া ক্লান্তির ছাপ মুখমণ্ডলে আঁকিয়া মাতাও দ্রুত ঘুমাইয়া পরিত, বাকী রহিল মোর কনিষ্ঠ ভ্রাতা যে কিনা সবে মাত্র দুই ক্লাশে পদার্পণ করিয়াছিল, তাহার আর কত নিশি জাগিবার অভ্যাস থাকিবে তাহা ব্যাখ্যা না করিলেও চলিবেইহার ফলে গভীর নিশিতে বালিরে লইয়া ভাবনার সাগরে নিমজ্জিত হইবার বিস্তর সময় মোর কপালে জুটিয়া যাইত, অতঃপর গভীর নিশিতে ফাঁক বুঝিয়া পত্র রচনায় মগ্ন হইতামপত্র রচনা করিতে গিয়া কি পরিমান কাগজ যে উৎচ্ছৃষ্ট করিয়াছি তাহা গাহিয়া, শুধাইয়া উপযুক্ত প্রকাশ ঘটানো মোর নগণ্য মেধাতে বেমানান শুধু এতোটুকুই বলিতে পারি মাঝে মধ্যে উৎচ্ছৃষ্ট কাগজ ফেলিতে গিয়া ঝামেলাও কম পোহাইতে হইনাইঅধিক ভাবনা চিন্তার সংমিশ্রণ ঘটাইয়া যে একখানা পত্র দাঁড় করাইলাম তাহা বাধ সাধিল উপযুক্ত মাধ্যমের অভাবে, কি করিয়া পত্রখানা বালির নিকটে পৌঁছানো যাই সেই ভাবনায় অস্থির হইয়া পরিলামবক্ষ পকেটে পত্রখানা লইয়া কয়েক দিবস যাবৎ ঘুরঘুর করিয়া ঘুরিয়া বেড়াইলাম ঠিকই কিন্তু উপযুক্ত কাজের কাজ কিছুই করিতে পারিলাম নাভাবনায় পরিয়া গেলাম তবে কি মোর চেষ্টা বৃথা হইয়া যাইবে!!! অবশেষে অধিক চেষ্টার ফলে মোর এক আত্মীয়কে পত্রখানা পৌঁছানোর জন্য রাজি করাইতে সক্ষম হইলাম এবং তাহার মারফত পত্রখানা প্রদান করিতেও সক্ষম হইলামপরবর্তী দিবসে সংবাদ আসিল বালি মোর পত্র গ্রহণ করিয়াছে, সংবাদখান শুনিয়া কিরুপ আনন্দিত হইয়াছিলাম তাহা বলিয়া বুঝাইতে পারিবনা তবে হ্যাঁ বক্ষে মোর সাহসের সঞ্চার ঘটিল, পুলকিত হৃদয় লইয়া সদানন্দে প্রত্তুওরের অপেক্ষায় বসিয়া রহিলাম

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন