Sanowar Hossain


বালি, ১ম পর্বঃ প্রেমের অঙ্কুরোদগম


গল্পের মূল চরিত্র বালি তখন সাত ক্লাশে পড়িতআমি ছিলাম সদ্য নয় ক্লাশে পদার্পণ করা অনভিজ্ঞ এক ছাত্র তখন অব্দি নারী ছিল মোর চক্ষুশূল যাহারা আলিনগর স্কুল ও কলেজে বিদ্যা অর্জন করিয়াছেন তাহারা সাত এবং নয় ক্লাশের অবস্থানটা খুবই ভালো করিয়া অনুধাবন করিতে পারিতেছেন মূলত বালিকে লইয়া গল্পের শুরু হইলো স্কুল জীবন হইতেইমস্তকের উচ্চতা ক্ষুদ্র হইতে বৃহৎ আকারে ক্লাশের বেঞ্চ ভাগ করিবার দরুন মোর সিট বসিয়াছিলো পঞ্চম নাম্বার বেঞ্চে যে স্থান হইতে সাত ক্লাশের পেছন দরজায় হরহামেশাই দৃষ্টি গিয়া হাজির হইত সাত ক্লাশের পশ্চাৎ দরজাখানা হইতে এক জোড়া চক্ষু প্রায় মোর পানে খেয়াল রাখিতোআসলেই মোর পানে নাকি মোর পশ্চাতের বন্ধুর পানে খেয়াল রাখিতো তাহা লইয়া দুইজনের অভ্যন্তরে প্রায় তর্ক লাগিয়াই রোহিলো প্রকৃতপক্ষে বালির দৃষ্টি দেখিয়া বোধগম্য ছিলনা আসলেই তাহার দৃষ্টি কার পানে বালির দৃষ্টি যে মোর পানে আবদ্ধ রহে তাহা প্রমাণের লক্ষ্যে আদা-জল খাইয়া নামিয়া পরিলামবালি কখন কোথা গমন করেকোন শিক্ষকের নিকটে পড়িতে যায়তাহার কোন পছন্দের কেহ রহিয়াছে কি নাবালির পেছন পেছন অন্য কেহ লাটিমের ন্যয় ঘোরাঘুরি করে কি নাইত্যাদি ইত্যাদি জানিবার ইচ্ছা লইয়া বালির আপনজনদের নিকটে ধর্না দিতে লাগিলামখেয়াল করিয়া দেখিলাম পড়া-লিখার উপর হইতে মনোযোগ উঠিয়া গেলোখাওয়া- দাওয়ার প্রতি অরুচি জন্মাইতে লাগিলোমানুষের সহিত আচরনে উগ্রতা ভাব প্রকাশ পাইতে লাগিল ইহা দেখিয়া মাতার চক্ষুশূল হইয়া পরিলাম প্রতিনিয়ত নানাবিধ প্রশ্নের সম্মুখীনও কম হইতে হইলোনা নিশিতে নিদ্রা হনন হইলোমুখমণ্ডলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দাগ অনুভূত হইলোপোষাক- আসাকে ময়লাভাব ফুটিয়া উঠিতে লাগিলো  বুঝিতে আর বাকী রহিলনা যে প্রেমের অঙ্কুরোদগম ঘটিয়া পরিয়াছে। 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন