Sanowar Hossain


বালি, ৫ম পর্বঃ পত্রবিলাস



শুরু হইল পত্র আদান-প্রদান পর্ব, বালির' হস্ত লিখন পাঠ ছিল দুরূহ, পত্রের ভাবার্থ বুঝিবার জন্য একাধিকবার পাঠ ছিল বাধ্যতামূলকছাত্রী হিসেবে বালি যেমনটা ছিল পত্র দেখিলে তাহা খুব সহজেই  অনুধাবন করা যাইত তবুও তাহার পত্র রচনায় এতোটুকু ক্লান্তি ছিলনা এক পত্র হইতে অপর পত্রের দূরত্ব সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা হইত তবে এমনও দিবস গিয়াছে ২-৩ বারও পত্র আসিয়া জুটিতএহেন অবস্থা বিরাজ করিতে লাগিল যে পত্র রাখিবার স্থান আর সঙ্কুলিত হইতেছেনা দেখিয়া কামরার এক কোণের মৃত্তিকা খনন করিয়া অধিক যত্নে পত্রের কিছু অংশ লুকাইয়া রাখিয়া দিয়াছিলামপথে যে সমস্ত পত্র আসিয়া হাজির হইত তাহার অধিকাংশ পথমদ্ধেই পড়িয়া সমাপ্ত করিতামএমনই এক দিবসের স্মৃতিচারণ করিলাম- পূর্বের দিবসের ন্যয় একখান পত্র পাইবা মাত্র বাঁশঝাড়ের অভ্যন্তর দিয়া পড়িতে পড়িতে অতিক্রম করিতেছিলাম পথমদ্ধে পরিচিত একব্যক্তিকে দেখিবা মাত্র পত্রখানা গুটাইয়া মুখোমদ্ধে প্রেরণ করাইয়া চর্বণ করিবা মাত্র গলাধঃকরণ করিয়াছিলাম ফলে ব্যক্তিটার সহিত বাক্য বিনিময় না করিয়া মুখভর্তি হাঁসি দিয়া সরিয়া পরিলাম, পরবর্তীতে প্রশ্নের সম্মুখীনও হইতে হইয়াছিল মুখমদ্ধে কি গোপন করিয়াছিলাম? সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হইয়াছিলাম,পাঠক মনে প্রশ্নের উদ্রেক ঘটিতে পারে পরিচিত ব্যক্তিটি কে রহিয়াছিল? পরিচিত ব্যক্তিটি রহিয়াছিল মোর মাতার আপন ভ্রাতা যাহার ফলে গৃহে কানাঘুষা লাগিয়া গেলো কি গলাধঃকরণ করিয়াছিলামআমি কিরূপে তাহাদিগকে বোঝায়তাম যে যাহা গলাধঃকরণ করিয়াছিলাম তাহা ছিল বালির পত্র আর যে বিলাসিতায় ভাসিতেছিলাম তাহা ছিল পত্রবিলাস



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন