Sanowar Hossain


"দেখিলাম , আমি বালিরে আজ প্রাণ ভরিয়া দেখিলাম"

#সেই সুগঠিত ললাট,সেই প্রশস্থ চক্ষু , সেই সুদূর-প্রসারী লেচন, সেই কৃষ্ণ কালো ভ্রু-যুগল , সেই কম্পমান অধর, সেই কিঞ্চিৎ প্রশস্থ কপোল, সেই ক্ষুদ্রাকার গ্রীবা, সেই ওষ্ঠকোণে মিশিয়া থাকা অপরূপ হাঁসি, ইহাকে সৌভাগ্যই বলিব কেননা বহুদিবস গত হইবার পর হঠাৎ করিয়া বালির সহিত মোর দেখা হইয়া গেল- "দেখিলাম , আমি তাহারে (বালির) প্রাণ ভরিয়া দেখিলাম" আম্র কাননের আধারে মিশে যাওয়া অব্দি এক বিন্দু দৃষ্টি সরাইতে পারিলাম না এখনও মনোমাঝে তাহার (বালির) সম্মুখ দিয়া গমন করিবার চিত্র বারংবার প্রতিফলিত হইতে আছে
উপলব্ধিঃ 
"
মোর সম্মুখ দিয়া আপন মনে গমন করিস, করিতে পারিনাই মানা, 
ইহাও অবগত গভীর নিশিতে পুনশ্চ আসিয়া স্বপ্নে দিবি হানা" - তুলা
সপ্নঃ তোরে সঙ্গী করিয়া মোর পুনরায় গড়িয়া উঠা তেপান্তরের পানে পদ দুইখানা বাড়াইব, যেথা গমন করিতে পথও মাঝারে দৃষ্টিগোচর হইবে সারিবদ্ধ বৃক্ষাদি (শিশু, তাল, ই কলিক্টর) ইত্যাদি ইত্যাদি, সেথা তুই মোর শ্বাস প্রশ্বাসে মিশিয়া রহিবি ইহার ন্যায় মুক্ত নিঃশ্বাস মোর হাজারো ধরণী মাঝারে কোথাও মিলিবেনা
বি.দ্রঃ তেপান্তর মাঝে গড়িয়া ওঠা কুঠিরখানা বাস্তবেই মোর নবনির্মিত ক্ষুদ্র কুঠির, বাকীটুকুন মোর আকাশ কুসুম চিন্তাধারা যেথা বিস্তার করিয়া থাকা নামখানা "বালি"

পুঞ্জিভুত রসঃ আজকে বালির নামে ৪৪ টাকা উৎসর্গ করিলাম কেননা গৃহ হইতে ফিরিবার কালে পথও মধ্যে যানবাহনের উপরে বালির কথা ভাবিতে ভাবিতে কখন জানি ঘুমাইয়া পরিয়াছিলাম ইহা দেখিয়া বাসের কন্ট্রাক্টার আসিয়া আর ঘুম হইতে জাগিয়া তুলেনাই ফলাফল আমিও আর তাহারে পয়সা প্রদান করিনাই 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন